জাতীয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন পুরস্কার পেয়েছে ১৬টি অ্যাপ। দেশীয় প্রতিষ্ঠানের তৈরি সেরা মোবাইল কনটেন্ট এবং উদ্ভাবনী মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা এবং পুরস্কার প্রদান করা হয় গত বৃহস্পতিবার।
অনুষ্ঠানে এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় বেশ কিছু মাইলফলক পূর্ণ করেছে। তার অনেকগুলোই তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে হয়েছে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, ‘নতুন একটি প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার অ্যাপ ও গেম ডেভেলপার তৈরি করা হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০টি বিশেষায়িত ল্যাব তৈরি করা হবে। আমাদের বিশ্বাস, এই বিনিয়োগ করে আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে অন্তত দুই হাজার কোটি টাকা আয় করবে বাংলাদেশিরা।’
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক ও আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হারুনুর রশিদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে ৮টি বিভাগে এই ১৬ অ্যাপের নির্মাতাদের পুরস্কৃত করা হয়।
পুরস্কার পেল যেসব অ্যাপ: সরকারের অংশগ্রহণ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ‘ভ্যাট চেকার’ অ্যাপ। এই বিভাগে রানারআপ হয়েছে ‘প্রাইমারি স্কুল মনিটরিং’ অ্যাপ। গণমাধ্যম ও সংবাদ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ‘ইয়ুথ অপরচুনিটিস’ ও রানারআপ হয়েছে ‘হাউ আই ওয়ার্ক’ অ্যাপ। বিনোদন ও জীবনযাপনে চ্যাম্পিয়ন ‘হিরোজ অব সেভেন্টি ওয়ান’ ও রানারআপ ‘ল্যান্ড নক’। শিক্ষণ ও শিক্ষায় চ্যাম্পিয়ন ‘নীলিমার বায়োস্কোপ’ ও রানারআপ ‘ব্রেইন ইকুয়েশন’। পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ‘জলপাই’ ও রানারআপ ‘বেবিটিকা’। পর্যটক ও সংস্কৃতি চ্যাম্পিয়ন ‘নৌকা বাইচ’ ও রানারআপ ‘পথ দেখুন’। ইনক্লুশন ও ক্ষমতায়ন বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ‘কলরব’, রানারআপ হয়েছে ‘অটিজম বার্তা’। ব্যবসা ও বাণিজ্য বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ‘ডেসকো’ এবং রানারআপ হয়েছে ‘শপ-আপ’ অ্যাপ।
আয়োজনের সহযোগী ছিল ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ড, গুগল ডেভেলপার গ্রুপ (জিডিজি) বাংলা ও জিডিজি সোনারগাঁও।
from ICT Shongbad http://ift.tt/2pQTCxs
Comments
Post a Comment