কমদামে শিক্ষার্থীদের জন্য ল্যাপটপ অনেকেই বাজারে নিয়ে আসে। শুধু শেয়ার বাজারকে কেন্দ্র করে অনেক নেটবুক বাজারে এসেছে পরবর্তীতে সেগুলোর বাজার দর আর থাকেনি। সম্প্রতি এমনই একটি ল্যাপটপ বাজারে এসেছে যার নাম জেড এয়ার প্রো ল্যাপটপ।
আই-লাইফ বাংলাদেশ ১৫,১৯৯ টাকা মূল্যের এই ল্যাপটপটির কনফিগারেশন দেখলে মনে হবে এখনকার কোনো স্মার্টফোনের কনফিগারেশনের মতো। যদিও বিশ্ববাজারে এই ল্যাপটপটির মূল্য ১৩৫ ডলার বা ১০ হাজার টাকার কিছু বেশি।
ছবি দেখা, মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে কাজ করা, মেইল চেকিং আর ইন্টারনেট ব্রাউজিং ছাড়া আদৌ এটি দিয়ে কিছু করা যায় না। এর কনফিগারেশন হিসেবে রয়েছে ইন্টেল এটম কোয়াড কোর প্রসেসর, ১২.৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে। ০.৮ ভিজিএ ক্যামেরা, ২ জিবি ডিডিআর থ্রি র্যাম, মাত্র ৩২ জিবি বিল্টইন স্টোরেজ আর এর ওজন ১.১৫ কেজি। এটি যে কাজের জন্য তৈরি অর্থাত্ উইন্ডোজ ১০ ও অফিস ৩৬৫ তা বিল্টইন নয়।
এমএসওয়ার্ড, এক্সেল, প্রেজেনটেশন আর ই-মেইল আদান-প্রদান যে কাজটি স্মার্টফোনেই করা যায় শুধু তা-ই করা যাবে এটি দিয়ে। উইন্ডোজ ১০ ইনস্টল হতে ১৬ জিবি স্টোরেজের প্রয়োজন হয় এরপর তো অন্য এপ্লিকেশন রয়েছে ইনস্টল করার জন্য।
দাম কম হলেও এর স্টোরেজ ক্যাপাসিটি মাত্র ৩২ জিবি ফলে এটিতে এসএসডি স্টোরেজ আর বাড়াবার কোনো সুযোগ নেই। সাধারণ ইন্টারনেটে ব্রাউজিংয়ের জন্য এর মেমোরি ২ জিবি থেকে আর বাড়ানো যাবে না। ফলে সিনেমা দেখার কাজটি এতে করা যাবে না। ছবি এডিট বা অন্যাকোনো কাজেও এটি দ্বারা করা সম্ভব নয়।
যেহেতু এতে ইউএসবি ৩.০ নেই তাই এটি বর্তমানে অনেক পেনড্রাইভের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবে না। আই লাইফ কোম্পানিটি নিজেদের মার্কিন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বলা হলেও এর কোনো অস্তিত্ব আমেরিকায় নেই। এখনও পর্যন্ত এটি উন্নয়নশীল দেশ, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, এশিয়া ও সিআইএস দেশগুলোতে বাজারজাত করছে।
আই লাইফ ডিজিটালের বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার নাসির উদ্দিন বলেন,‘ল্যাপটপটিতে মূলত যেসব কম্পোনেন্ট যুক্ত আছে তা বাড়ানোর সুযোগ নেই, এগুলো ইনবিল্ট হয়ে আসছে। স্বল্পমূল্যের এই ল্যাপটপটি দিয়ে প্রফেশনাল কাজ করা যাবে এমন পরামর্শ আমরা দেই না। এটি বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় রিটেইল স্টোরে বিক্রি হয়। ১৩৫ ডলার যে মূল্যের কথা আপনারা বলছেন এটি মূলত প্রমোশোনাল প্রাইজ। এর রেগুলার প্রাইজ আরও বেশি।’
from ICT Shongbad http://ift.tt/2ndNs9s
Comments
Post a Comment