তথ্য প্রযু্ক্তির যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক শক্ত অবস্থান নিয়েছে। ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত জীবন কিংবা মতামত তো বটেই, সমসাময়িক নানা সমস্যাও এখন এই প্ল্যাটফর্মে স্থান পাচ্ছে। শুধু কি তাই, অনেক ব্যবহারকারী ফেসবুকের সুবাদেই দৈনন্দিন ঘটনাবলী জানতে পারছেন। আর অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলোও পাঠকের কাছে দ্রুত পৌঁছতে দ্বারস্থ হচ্ছে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের।
কিন্তু সব কিছুরই ভালো দিক যেমন আছে, তেমনই আছে মন্দ দিক। বর্তমানে গুজব রটাতে এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জুড়ি মেলা কঠিন। জীবিত ব্যক্তির মৃত্যুসংবাদ, আজগুবি জানোয়ারের উপদ্রব, ভুল রাজনৈতিক খবর থেকে শুরু করে ভিনগ্রহীদের মর্ত্যে আগমনের খবর পর্যন্ত স্থান পাচ্ছে ফেসবুকে। যা দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। এসব মিথ্যে খবর বা গুজব থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিকে বাঁচাতে তাই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে।
ব্রিটেনে মিথ্যে খবরের চাপ ঠেকাতে ফেসবুক সম্প্রতি অনুসন্ধানে নামে। এবং অসংখ্য ভুয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে তা বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হয়। সেসব অ্যাকাউন্টের অ্যাক্টিভিটি বিচার করে অর্থাৎ পোস্ট, মতামতের স্থানে একই বার্তা বার বার প্রদান ইত্যাদি বিষয় দেখে তদন্তকারীরা সহজেই ভুয়া একাউন্ট শনাক্ত করে।
ফেসবুকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির অপব্যবহার ঠেকাতে এই কাজ না করে উপায় ছিল না। সঠিক তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয় বলে জানান ফেসবুকের পলিসি প্রধান সাইমন মিলনার।
ভুয়া খবর বন্ধ করতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এখন নতুন নীতি গ্রহণ করতে চলেছে। গুগলের সহযোগিতায় ফেসবুক একটি ‘তথ্য যাচাই’ কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এই কার্যক্রমে যুক্ত থাকবে দেশের প্রধান কিছু সংবাদ মাধ্যম।
মিলনার জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময়ে ভুয়া খবরের প্রবাহ দেখেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। হ্যাকাররা অন্যের ইমেল অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য চুরি করে সেখান থেকেই জাল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ভুয়া খবর ছড়াতো।
তবে মিলনার এটাও স্বীকার করেছেন যে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে জাল অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা খুবই সামান্য ছিল।
from ICT Shongbad http://ift.tt/2qMjjSQ
Comments
Post a Comment