বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের ব্লক, নিবন্ধনবিহীন এবং বাতিল সিম পুনরায় বিক্রির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে গ্রামীণফোন নতুন করে যে নম্বর সিরিজ বরাদ্দ চেয়েছিল সেটা দিতে সম্মত হয়নি কমিশন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পেটার ফারবার্গ গত ২৩ এপ্রিল বিটিআরসির চেয়রাম্যান বরাবর সিম বিক্রির ইস্যু নিয়ে চিঠি দিয়েছেন। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, বর্তমান সিরিজের নম্বর প্ল্যানে আমরা সিম বিক্রি অব্যাহত রাখতে পারব না। আগামী ১১ মে ২০১৭-এর মধ্যে আমাদের সব সিম বিক্রি শেষ হয়ে যাবে। এ জন্য নতুন নম্বর সিরিজের অনুমতি প্রয়োজন।
গ্রামীণফোন এর আগে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছিল। সমস্যার বিষয়টি বিবেচনা করে সংস্থাটি গত বছর ২১ আগস্ট শর্তসাপেক্ষে গ্রামীণফোনের নামে ‘০১৩’ নামের নতুন একটি নম্বর সিরিজ বরাদ্দ দিয়েছিল। তবে পুনরায় কমিশন আলোচনা করে নিরীক্ষা কার্যক্রমসহ আরও কয়েকটি পুরানো সমস্যার সমাধান করতে অপারেটরটিকে এই সিরিজ দেওয়ার বিষয়টি স্থগিত রাখা হয়।
সূত্র জানিয়েছে, কমিশন অনেকটা তড়িঘড়ি করেই গ্রামীণফোনকে নতুন আরেকটি নম্বর সিরিজ বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে এরই মধ্যে সরকারের টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তারা এত সহজে ও নিঃখরচায় অপারেটরটিকে আরেকটি নম্বর সিরিজ দেওয়ার বিষয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিরোধিতা করেন। কর্মকর্তাদের মতে, ১৯৯৭ সালে যখন তিনটি অপারেটরকে নামমাত্র মূল্যে স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স দেওয়া হয়, তখন সেটা ছিল সময়ের বাস্তবতা। পরে এর সুফল দেশ ও অপারেটরগুলোও পেয়েছে।
এরপর অপারেটরগুলো সেবার বিপরীতে অনেক মুনাফা করছে এবং সরকারও এ খাত থেকে আয় করতে চাইছে। বিটিআরসির কর্মকর্তারা বলেন, নতুন নম্বর সিরিজ দেশের সম্পদ। এটি কোনো অবস্থাতেই বিনাখরচায় দেওয়া যায় না। তবে সাময়িক সমস্যা সমাধানের জন্য শেষ পর্যন্ত গ্রামীণফোনের ব্লক, নিবন্ধনবিহীন এবং বাতিল সিম পুনরায় বিক্রির অনুমতি দিয়েছে বিটিআরসি। বর্তমানে গ্রামীণফোনের মোট সক্রিয় গ্রাহক রয়েছে ৫ কোটি ৯৯ লাখ।
এ ব্যাপারে বিটিআরসির চেয়ারাম্যান ড. শাজাহান মাহমুদ বলেন, আগামী ১১ মে থেকে গ্রামীণফোন নতুন সিম বিক্রি করতে সমস্যায় পড়বে বলে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে সেটা সত্য নয়। কারণ এখনও তাদের কাছে লাখ লাখ সিম খালি রয়েছে। তবে এখন থেকে তাদের ব্লক সিমগুলোও বিক্রি করতে পারবে।
তিনি জানান, ভিওআইপির দায়ে অভিযুক্ত সিমের বিপরীতে গত জানুয়ারি মাসে ৭ কোটি ৩২ লাখ ৯৩ হাজার ১৯ টাকা জরিমানা বাবদ বিটিআরসির কাছে জমা দেওয়া সাপেক্ষে তাদের এসব সিম পুনরায় বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়। তবে গ্রামীণফোনের বর্তমান ব্যবহারকারীরা এখন প্রচণ্ড কলড্রপের সমস্যায় রয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
from ICT Shongbad http://ift.tt/2oDtp8w
Comments
Post a Comment