মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় টাকা জমা ও উত্তোলনে কড়াকড়ি আরোপের ফলে লেনদেন কমেছে। জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে মোট লেনদেন কমেছে প্রায় সাড়ে ১১ শতাংশ। আর দৈনিক লেনদেন কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ। তবে লেনদেন কমলেও এ সময়ে রেকর্ড পরিমাণ ৭৯ লাখেরও বেশি গ্রাহক বেড়েছে। যা একক মাস হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ এবং আগের মাসের তুলনায় প্রায় ১৯ শতাংশ বেশি।
২৭ মার্চ সোমবার দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত ‘কড়াকড়িতে কমেছে মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি শেষে এ সেবায় মোট গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৫৪ হাজার বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে সূত্রে জানা গেছে।
প্রতিবেদন সূত্রে, মোবাইল ব্যাংকিং এ সেবা ব্যবহার করেই মানুষ তাদের পরিবার পরিজন ও নিকটাত্মীয়ের কাছে বেশি টাকা পাঠাচ্ছেন। তবে সম্প্রতি মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় অপব্যবহার ঠেকাতে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে হিসাব খেলা ও পরিচালনা এবং লেনদেনে আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
এখন একজন ব্যক্তি যে কোনো মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় একটি মাত্র হিসাব চালু রাখতে পারবেন। যাদের একাধিক হিসাব চলমান রয়েছে, তা দ্রুত বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। একইসঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থায় দৈনিক ও মাসিক লেনদেনের সীমা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে।
বর্তমানে একজন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক একবারে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। পূর্বে এই হার ছিল ২৫ হাজার টাকা। এখন থেকে গ্রাহক দৈনিক দুই বার এবং মাসে ১০ বার এই সেবা নিতে পারবেন, যা আগে ছিল দৈনিক তিন বার এবং মাসে ১০ বার। একইসঙ্গে দৈনিক জমার সীমাও পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে এখন থেকে দিনে সর্বোচ্চ দুই বারে ১৫ হাজার টাকা করে পাঠানো যাবে। যা মাসে সর্বমোট ২০ বারে এক লাখ টাকার বেশি হতে পারবে না। আগে দিনে পাঁচ বারে ২৫ হাজার টাকা এবং মাসে সর্বোচ্চ ২০ বারে দেড় লাখ টাকা করে জমা করা যেত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা পত্রিকাটিকে বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং একটি সীমিত ব্যাংকিং সেবা। তবে এ সেবায় এখন ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) লেনদেন বেড়ে গেছে। যা নীতিমালা পরিপন্থী। কারণ ওটিসির আওতায় অনেকে মুক্তিপণ, জঙ্গী অর্থায়ন ও জোর করে টাকা আদায় করছে। এই অনিয়মের কারণে আমরা এই সেবায় লেনদেন সীমা সম্প্রতি সীমিত করেছি।
from ICT Shongbad http://ift.tt/2onk682
Comments
Post a Comment